স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষ পাঁচে চীনের তিন কম্পানি
স্মার্টফোন বাজারে চীনাদের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এবার অ্যাপলকে সরিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন কম্পানি শাওমি। এমনকি তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানটিও এখন চীনা কম্পানিগুলোর দখলে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বে স্মার্টফোন সরবরাহের ১৭ শতাংশ ছিল চীনা প্রতিষ্ঠান শাওমির। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ সরবরাহ করে প্রথম স্থানে স্যামসাং।
ক্যানালিস জানায়, এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে শাওমির স্মার্টফোন সরবরাহ ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তৃতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপলের স্মার্টফোন সরবরাহ ১৪ শতাংশ। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা চীনা কম্পানি অপো ও ভিভো বিশ্ববাজারে স্মার্টফোন সরবরাহ করেছে ১০ শতাংশ করে।
ক্যানালিস জানায়, এই প্রথমবারের মতো শাওমি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। ২০২০ সালের পুরো বছর এবং এ বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত স্যামসাং ও অ্যাপলই ছিল শীর্ষ দুই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। ২০১৯ সালে শীর্ষ দুই কম্পানি ছিল স্যামসাং ও হুয়াওয়ে। কর্মীদের উদ্দেশে লেখা এক বার্তায় শাওমির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও লি জুন বলেন, ‘বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন কম্পানি হওয়া শাওমির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমি আশা করছি ভবিষ্যতেও আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে পারব।’ এই খবরে হংকংয়ে শাওমির শেয়ারের দর ৫ শতাংশ বেড়ে যায়।
ক্যানালিসের গবেষণা ব্যবস্থাপক বেন স্ট্যানটন বলেন, ‘বৈশ্বিক বাজারে শাওমির ব্যবসা দ্রুত বাড়ছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শাওমির স্মার্টফোন সরবরাহ লাতিন আমেরিকায় বেড়েছে ৩০০ শতাংশ, আফ্রিকায় বেড়েছে ১৫০ শতাংশ ও পশ্চিম ইউরোপে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। চীনা কম্পানিটি সাশ্রয়ী স্মার্টফোন বাজারে এনে ক্রেতা ধরছে। স্যামসাং ও অ্যাপলের তুলনায় শাওমির ফোন গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ সস্তা।
ক্যানালিস জানায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে স্মার্টফোন কম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্ববাজারে স্মার্টফোন সরবরাহ বেড়েছে ১২ শতাংশ। টিকা দেওয়ায় অনেক দেশেই অর্থনীতি এখন স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ফলে মানুষ আবার বেশি খরচ করতে শুরু করেছে। তবে শাওমিকে এখন বাজারে টিকে থাকতে হলে হুয়াওয়ে, অপো এবং ভিভোর সঙ্গেও লড়াই করতে হবে। তবে ২০১৯ সালে বিশ্ববাজারে তাক লাগিয়ে দেওয়া হুয়াওয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় পড়ে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে পিছিয়ে গেলেও স্থানীয় বাজারে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে।