শেরপুরের নাকুঁগাও স্থলবন্দর ব্যবহার করে আন্তদেশীয় বাণিজ্য বাড়াতে চায় নেপাল। নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি করিডোর ব্যবহার করে নেপালের সাথে যোগাযোগ অত্যন্ত সহজ সহজ। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরে নালিতাবাড়ীর নাকুঁগাও স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বংশিধর মিশ্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। জাতিগতভাবে আমরা প্রায় একই। আমরা এই দুই দেশের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় ভারতের শিলিগুড়ি করিডোর ব্যবহার করে সড়ক পথে নেপালের সাথে সহজ যোগযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।
নেপালী রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনা মহামারির পর আমরা বাংলাদেশের সাথে আরো বেশ কিছু চুক্তি সম্পাদন করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করে গেলাম। পরবর্তীতে আমরা চুক্তি করার লক্ষ্যে কাজ করবো। যেহেতু এই বন্দর দিয়ে ভুটানের সাথে যোগাযোগ রয়েছে, তবে নেপালের সাথে কেন নয়। নেপালের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি হতে পারে ভালো একটি মাধ্যম।
পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত নাকুগাঁও স্থলবন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রপ্তানিকারক, বন্দর কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন এবং বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দুপুরে রাষ্টদূত নাকুগাঁও স্থলবন্দরে এসে পৌঁছলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান। এ সময় রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুক্তাদিরুল আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীন, পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক এবং বন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।