মিসরে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক
যোগ দিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উদযাপনের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২) সন্ধ্যা ৭টায় কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে দূতাবাস কর্মকর্তা ফারুক হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা ও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ দ্বিতীয় দিনে প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অমর ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিসরে সফররত বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক সহ সাথে আসা চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত বারো সদস্যের একটি নৃত্য প্রতিনিধিদলও উপস্থিত ছিলেন উক্ত অনুষ্ঠানে।
উক্ত প্রতিনিধি দলটি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের বিমুগ্ধ করে রাখে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালে তারা যদি শহিদ না হতেন, বাংলা ভাষার জন্য রক্ত না ঝরাত, পরবর্তিকালে কখনোই স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতনা। তাই আমাদের আজকের যে অবস্থা তার সব কিছুর মূলেই হচ্ছে ভাষা শহিদগন। তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোন রক্তই বৃথা যায় না। আর যায় না বলেই আজ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মাননীয় মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলা ভাষার জন্য বাঙ্গালীদের আত্মত্যাগ আজ বিশ্ববাসীর কাছে স্বীকৃত ও সম্মানিত হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মাতৃভাষাকে সম্মানিত করা হয়েছে।
মাননীয় মন্ত্রী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালের সময় তার কিছু স্মৃতিচারণ করে বলেন, খুবই তরুণ বয়সে আমার সুযোগ হয়েছিল, ৭১ সালের ১৯ মার্চ বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে গাজীপুরে ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে সশস্ত্র ভাবে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেয়ার। অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশী অধ্যাপক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।