মিশরে চার আযহারী বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন
আফছার হোসাইন (কায়রো-মিশর থেকে)
জগত বিখ্যাত মিশরের আল-আজহারে অধ্যায়নরত চার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টির মাজমাউল বুহুস আল-ইসলামিয়া (Islamic Research Complex) আয়োজিত “আমার দেশের সংস্কৃতি” প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে বিজয়ী হয়েছেন।
গত বুধবার (৫জুন) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইসলামিক রিসার্চ কমপ্লেক্স শাখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রদের নাম ঘোষণা করে। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, তৃতীয় ও চতুর্থ বিজয়ী হয়েছেন আরো দুজন।
মিশরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও আল-আজহারের সকল বিভাগের সহযোগিতায়, পরচিতি, দক্ষতা, জ্ঞান, সংস্কৃতি, পর্যটন ও মিশরের সভ্যতা, প্রযুক্তি, আধ্যাত্মিক, প্রচারণা, বিশেষ বাছাই ও সাক্ষাৎকার সহ ১০টি ক্যাটগরিতে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় মিশরীয় শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
প্রথম বিজয়ী বাংলাদেশি দুই শিক্ষার্থী পাবনা জেলার তলট, সাঁথিয়ার মো: আনোয়ার হোসেন এর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল বাজারের মুহাম্মদ সোলাইমান শেখ এর ছেলে মুহাম্মদ মারুফ হুসাইন সাদ্দান পেয়েছেন জনপ্রতি ২৫হাজার মিশরীয় পাউন্ড। তৃতীয় ও চতুর্থ বিজয়ী পেয়েছেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার নাফিস মাহমুদ ১০ হাজার পাউন্ড ও চতুর্থ বিজয়ী সাবির আহমেদ গোফরান পেয়েছেন ৫হাজার পাউন্ড। এছাড়া দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজয়ীদেরকে কায়রো ও ফাইয়ুম জেলার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান গুলো ঘুরে দেখানো সহ ৬০ জন বিজয়ীকে ৩০টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ইসলামিক রিসার্চ কমপ্লেক্স এর মহাসচিব ডক্টর নাযির আইয়াদ বলেন, প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য ছিল মিশরীয় সংস্কৃতির সাথে অন্য দেশের মানুষকে পরিচয় করানো। আর সেটা করা হয়েছে দুজন শিক্ষার্থীর মাঝে সহপাঠির বন্ধন তৈরির মাধ্যমে। দুজনের একজন মিশরী অপরজন বিদেশী। যারা মিশরের মাটিতে আল-আজহারে পড়াশোনা করছে।
ডক্টর নাযির আইয়াদ আরো বলেন, মিশরী শিক্ষার্থীরাও অন্য দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, রীতিনীতি, অভ্যাস-আচরণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছে। ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, সভ্যতার নিদর্শন মূলক স্থানগুলো পরিচিত করানোর মাধ্যমে মিশর ভ্রমণের প্রতি ভিন দেশীদের উৎসাহিত করা হয়েছে।
প্রথম বিজয়ী মো: মনিরুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এমন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশর প্রতিনিধিত্ব করে নিজের দেশকে তুলে ধরতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিশেষ করে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিকে বিদেশিদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাকে খুবই ভালো কাজ এবং আনন্দের মনে করি।
আমার বিদেশের মাটি থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন এবং আগামী সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য উৎসাহ প্রদানকারী আমার বাবা ও মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ।