জাপানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, তাঁর আজীবনের আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার অকুণ্ঠ সমর্থক ও প্রেরণাদায়ী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী। জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা নিয়ে মহীয়সী এই নারীর জন্মদিন উদযাপন করেছে।
আজ রবিবার স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী সবার উদ্দেশে পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সারা জীবন বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসেবে বিদ্যমান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করেছেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু বহুবার কারাবরণ করেছেন, আর তখন সাহসী বঙ্গমাতা পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। আর এ জন্যই কোনো রাজনৈতিক পদধারী না হয়েও তিনি বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী, যিনি পরিবারে স্ত্রী-মাতার ভূমিকায় কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। তিনি বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে নারীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান, যাতে বঙ্গমাতার জীবনকর্ম থেকে তারা ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।