আল আযহারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জমকালো ঈদ পুনর্মিলনী
লেখকঃ গোলাম রাব্বানী চৌধুরী
পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ঐতিহাসিক বিদ্যাপীঠ মিসরে অবস্থিত জামেয়াতুল আযহার বা আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়। অসংখ্য বিদেশি ছাত্র আর ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির এক অসাধারণ মেলবন্ধনও বটে।
মিসরে বাংলাদেশিদের ব্যাপকভাবে আগমণের ইতিহাস দুদশকের বেশী নয়। তবে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন শাস্ত্রে উচ্চতর পড়াশোনা করতে পাঁচশ-এরও বেশী ছাত্র আগমণ করেছে সভ্যতার সূতিকাগার বলে পরিচিত এই মিশরে। ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এই সংখ্যা আরো বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা-দীক্ষা ও বাংলা সংস্কৃতি চর্চা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ধারা অব্যাহত রাখতে ‘আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ’ সহ বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি সমাজ কল্যাণ মূলক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে অবিরত।এছাড়াও বিদেশের মাটিতে বাঙ্গালী সাজে বিভিন্ন উৎসব পালনে সংগঠনগুলোর বৃহৎ ভুমিকা রয়েছে।
বরাবরের মতই গত রবিবার (১০ই জুলাই) মুসলমানদের অন্যতম উৎসব ঈদুল আদহাও বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। ছাত্রদের জন্য গরু দুম্বা মিলিয়ে কুরবানি সম্পাদন সহ আনন্দ-বিনোদনের লক্ষ্যে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের পক্ষ থকে ছিলো অসাধারণ সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী। বিভিন্ন কৌতুক মঞ্চায়ন সহ বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের সঙ্গীত পরিবেশনা অনুষ্ঠানকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছিলো।
বিনোদন পর্ব শেষে সোসাইটির সভাপতি এমফিল গবেষক মাও. শরিফ উদ্দীন আব্দুল মান্নান এবং সাবেক উপদেষ্টা স্বনামধন্য ড. হাসিবুর রহমান আযহারির নেতৃত্বে সোসাইটির সংশোধিত সংবিধানের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছাত্রদের সকলেই করতালির মাধ্যমে সংবিধানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বশীলকে কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করে।
সর্বশেষ বিশ্বমানবতার কল্যাণ কামণা করে সম্মিলিত মুনাজাতের পর বাঙ্গালী স্বাদে কুরবানির গোশতের প্রস্তুতকৃত খাবার গ্রহণের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের হৃদ্যতাপূর্ণ মিলনমেলার সফল সমাপ্তি হয়। নারী পুরুষ মিলিয়ে অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।