মেক্সিকো সরকারের শীর্ষ বেসামরিক সম্মাননা ‘ওহটলি অ্যাওয়ার্ড’ এবং মিশরের আল-আহরাম পুরস্কার এর পর এবার প্রবাসী আফছার হোসাইন পেলেন মিশরে মেক্সিকান নাগরিকদের পরিসেবার স্বীকৃতি স্বরূপ রজতজয়ন্তী সম্মাননা পুরস্কার।
গত ২১শে জুন ২০২২ রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানী কায়রোস্থ মেক্সিকান দুতাবাসের কনফারেন্স রুমে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রজতজয়ন্তী পুরস্কার (Silver jubilee Award) টি আফছার হোসাইন এর হাতে তুলে দেন মিশরে সফররত মেক্সিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয়া উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী ‘কারমেন মোরেনো’।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মন্ত্রীর সফর সঙ্গীগন, মিশরে মেক্সিকান দুতাবাসের রাষ্ট্রদূত জোসে অক্টাভিউ ট্রিপ, দুতালয় প্রধান মিনিস্টার হেক্টর অরতেজা, দুতাবাসে কর্মরত সামরিক সচিবগন, অন্যান্য কূটনৈতিকবৃন্দ ও দুতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগন।
মিশরে মেক্সিকান দুতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফছার হোসাইন দুতাবাসের ২৮ বছর পরিসেবা, মেক্সিকান নাগরিকদের সেবা প্রদান ও সহযোগিতা করার বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হল।
রজতজয়ন্তী পুরস্কার পাওয়ার পর প্রবাসী আফছার হোসাইন বলেন, যে কোন পুরস্কারই আনন্দের, খুবই ভালো লাগছে। একটি ভিন্ন দেশের দুতাবাসে ২৮ বছর কাজ করার পর কাজের স্বীকৃতি পেলাম। যদিও এর আগে মেক্সিকান সরকারের শীর্ষ বেসামরিক পুরস্কার অহটলি পেয়েছি।
পুরস্কারটি পেয়ে আমি খুবই খুশি এবং অনুপ্রাণিত। এই পুরস্কার আমার দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও সুন্দরভাবে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোভাবে কাজ করব।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নে টামনী আকন্দ পাড়ায় জন্ম নেওয়া আফছার হোসাইন মেক্সিকো দূতাবাসে চাকরী নিয়ে মিশর যান ১৯৯৫ সালে।
তার দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে ডাক্তার পুষ্প হোসাইন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সংস্থা রিয়েল-ওয়ার্ল্ড এভিডেন্স (এইচসিডি) ইকোনমিক্স বিভাগের পরিচালক ও চেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শনকারী প্রভাষক। ছেলে নাঈম হোসাইন কানাডায় বিশ্বের বৃহত্তম পেশাদার পরিষেবা নেটওয়ার্ক ‘দালোয়েত’র আইটি কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করছেন। তার স্ত্রী নাজমা হোসাইন কায়রোর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন।