মিসরে শেখ রাসেল দিবস উৎযাপন!
আফছার হোসাইন (মিসর থেকে )
শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাসের ন্যায় নীলনদ আর পিরামিডের দেশ মিসরেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করল শেখ রাসেল দিবস।
গত মঙ্গলবার (১৮ই অক্টোবর ২০২২) সন্ধ্যায় রাজধানী কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হল রুমে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী শিশু-কিশোরদের স্বতস্ফূর্ত অংশ গ্রহণে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর শুভ জন্মদিন স্মরণে অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম দুতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মোহাম্মদ ফেরদৌস এর উপস্থাপনায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার ও অন্যান্য শহিদ সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দুতাবাস প্রধান (কাউন্সিলর শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হুসাইন ও ২য় সচিব আতাউল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করার পর দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে দেশ ও জাতির উপর তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
শেখ রাসেলের জন্ম, শৈশব, শিক্ষা জীবন, পরিবার, পছন্দ, তাঁর উপর রচিত গ্রন্থ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর কুইজ প্রতিযোগিতাসহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস। কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার এবং সনদ প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যবৃন্দের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন শেখ রাসেল-এর জীবন আমাদের জন্য, বিশেষত শিশু-কিশোরদের জন্য আদর্শ ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে শিশুদের নিরাপদে বেড়ে উঠা ও তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ নিশ্চিত করতে তিনি সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ অনুষ্ঠানে মিসরে বসবাসরত বিভিন্ন বয়সের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।