নীলনদ আর পিরামিডের দেশ মিসরে প্রবাসীদের নিয়ে দু’দিন ব্যাপী মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে কায়রোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত ২৬শে মার্চ ২০২২ রাজধানী কায়রোস্থ বাংলাদেশের দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দু’দিনব্যাপী ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান।
ঐ দিনের দুতাবাসে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার পর ২৮শে মার্চ সোমবার সন্ধা ৭ টায় কায়রোর তাহরীর স্কয়ারের পাশে পাঁচ তারকা হোটেল রামসিস হিলটনে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও মিসরে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সন্মানে দেওয়া অভ্যর্থনা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিসরের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও এশিয়া সম্পর্ক বিভাগের প্রধান রাষ্ট্রদূত জনাব আয়মান কামেল ও মিসরের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ড. ঘাদা শ্যালাবি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম, অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া মিসরের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কেক কাটেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন কায়রোস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক কোরের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, মিসরের সরকারি বেসরকারি উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও বাংলাদেশে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ। রামসিস ৫তারকা হোটেলের হল রুমে প্রায় দুইশত অতিথির উপস্থিতিতে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর পর মহান স্বাধীনতার শহীদদের সন্মানে ১ মিনিট নিরবতা পালনের করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথা বিশেষ ভাবে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ গুলোর মাঝে মিসর সর্ব প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার “সোনার বাংলা” ও “ভিশন ২০৪১” সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।
তিনি আশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্বে বাংলাদেশ তাঁর গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুতই উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিসরের প্রতিমন্ত্রী জনাব আয়মান কামেল বাংলাদেশের সাথে অতীতের সু-সম্পর্ক এর কথা স্মরণ করিয়ে ভবিষ্যতে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।