নীলনদ আর পিরামিডের দেশ মিশরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রবাসীদের নিয়ে দুইদিন ব্যাপী কয়েক পর্বে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করলো কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
যোগ দিয়েছেন মিশরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডঃ এসাম শরাফ, আরব লীগের মহাসচিব ও মিশরের (সাবেক) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমর মুসা সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান কামেল ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী মো. আব্বাস হেলমি।
গতকাল রোববার (২৬ মার্চ ২০২৩) মিশরে বাংলাদের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং প্রবাসীদের নিয়ে সকাল ৯.৩০ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন। পরে দুতাবাস হল রুমে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানোর পর দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহীদবর্গের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় জাতির পিতার আদর্শের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও মিশরের ঐতিহাসিক এবং বর্তমান সুসম্পর্কের উপর আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতিতে উন্নীত করতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করেন। এ বৎসর মিসর-বাংলাদেশ কূটনৈতিক-সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করেন।
মিশরের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী মো. আব্বাস হেলমি, প্রধান অতিধি (প্রাক্তন) প্রধানমন্ত্রী ডঃ এসাম শরাফ এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমর মুসা ছিলেন গেস্ট অব অনার। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিশর সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান কামেল বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিশরের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মন কামেল মিশর-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নূতন পর্যায়ে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম, অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া মিশরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আরব লীগের মহাসচিব, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কেক কাটেন।
অনুষ্ঠান শেষে সকল অতিথিদের দেশীয় খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।