Site icon World 24 News Network

মিশরে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত ঈদ উদযাপন

প্রিয় মাতৃভূমি থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করেও আযহার পড়ুয়া বাংলাদেশী ছাত্রদের ঈদ উদযাপন ছিলো বাংলাদেশের মতই।

মিশরীয় সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠা বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের জন্যও এই ঈদ পুনর্মিলনী দেশের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা তৈরিতে অন্যতম ক্রিয়াশীল ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও পুনর্মিলনীতে আমন্ত্রিত দূতাবাস কর্মকর্তাগণ পেয়েছেন দেশিয় আমেজে পরিবার সমেত ঈদ পালনের আনন্দ।

গত ২রা মে রোজ সোমবার মিশরে ইদুল ফিতর উদযাপন হয়। বাংলাদেশ আর মিশর মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে এক হলেও দুদেশের উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ভিন্নতা রয়েছে। মিশরের মত ইতিহাস ঐতিহ্যের দেশে বাঙ্গালি রীতিতে ঈদ উদযাপন মোটেও সহজ ছিলোনা।

এই মিলনমেলার পূর্ণ কৃতিত্ব বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠন ‘আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ’ এর।

যথাসময়ে ঈদের দিন বিকেল ৫:৩০ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বাংলাদশিদের আগমনে কায়রোর ‘তাইসির মসকো কনভেনশন হল’ হয়ে উঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। সবার সৌহার্দপূর্ণ আন্তরিক অংশগ্রহণকে বিনোদনমূলক করতে সংগঠনটি বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজনেরও ব্যবস্থা করে। যার মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত, সঙ্গীত পরিবেশনা সহ ছিলো হাস্যরসাত্মক নাটক মঞ্চায়ন।

এছাড়াও মঞ্চে শিশু কিশোরদের স্বপ্রণোদিত উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে দ্বিগুণ উপভোগ্য করে তুলেছিলো। সাংস্কৃতিক পর্ব শেষে রমাদানে অনুষ্ঠিত শিক্ষামূলক বিভিন্ন তৎপরতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেন প্রধান অতিথি কায়রোস্থ বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত জনাব মনিরুল ইসলাম, সংগঠনের সভাপতি এমফিল গবেষক মাও. শরীফুদ্দীন আযহারী এবং সদ্য আযহার থেকে সর্বোস্তরের রেজাল্ট নিয়ে পিএইচডি সম্পন্নকারী ড. হাসিবুর রহমান আযহারী।

এরপর সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দীর্ঘ মুনাজাত করা হয়। সর্বশেষ বাঙ্গালি স্বাদে প্রস্তুতকৃত খাবার গ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত ঈদ উদযাপনের সমাপ্তি হয়। নারী-পুরুষ মিলিয়ে এ পুনর্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় তিনশতাধিক বাংলাদেশী।

লেখক: গোলাম রাব্বানী চৌধুরী
শিক্ষার্থী: আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় কায়রো, মিশর

Exit mobile version