গতকাল শুক্রবার (৭ই এপ্রিল) বিকেল ৪টায় পবিত্র রমজানের ইফতার মাহফিল আয়োজন করে মিশরে বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন ইত্তেহাদ। আল-আজহার বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্র নিবাস ‘মদীনাতুল বউস’ এর পাশের দুইটি অডিটরিয়ামে ইত্তেহাদ এর সাধারণ সম্পাদক সাইমুম আল-মাহদীর সঞ্চালনায় সংগঠনটির সভাপতি নাজিব শাওকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশটির অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, পরিবারবর্গ, বিভিন্ন দেশের আল-আজহার বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ও প্রবাসী বাংলাদেশী সহ ছয়শতের ও অধিক অতিথির অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিলটি পরিনত হয় প্রবাসীদের মিলন মেলায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সভাপতির বক্তব্যে আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে নাজিব শাওকী মিশরে অধ্যায়নরত ছাত্র/ ছাত্রীদেরকে সকল মতানৈক্য ভুলে ইসলামের সুমহান আদর্শের ছায়াতলে একতার বন্ধনে অটুট থাকার জোড় তাগিদ দেন। অনুষ্ঠানে অনান্য বক্তারা তাদের বক্তব্যে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে আপামর জনতার আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামের সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্টদূত মো. মনিরুল ইসলাম উপস্থিত অতিথিদের পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গত বছর আল-আজহার বিশ্ব বিদ্যালয়ে গ্রান্ড ইমাম শায়খুল আজহার এর সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর ৫০টি শিক্ষাবৃত্তি বৃদ্ধি করেছি। মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যে কোন সহযোগিতা করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আজ ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে একটি খুশির সংবাদ দিতে চাই, আগামী ১৪ই মে কায়রো-ঢাকা রোডে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। ফ্লাইট পরিচালনার কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম ফ্লাইটে মিশর প্রবাসীদের জন্য ৫০% ডিসকাউন্ট দিয়ে টিকেট নিতে পারবেন। কায়রো – ঢাকা ফ্লাইট চালু হলেই দু-দেশের ভিসা সহজীকরণে আমরা ই- ভিসা চালু করব ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে ইত্তেহাদ এর ৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ও অন্যান্য সদস্যরা কোরআন তেলাওয়াত, রমাজান নাশিদ, সংগঠন’টির থিম সং সহ ইসলামী সাংস্কৃতির নানান কার্যক্রম উপস্থাপিত করার পর দেশ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ এবং শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। সর্বশেষে অতিথিদেরকে ছাত্রদের নিজ হাতে রান্না করা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইফতারি ও নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।