হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করলো মিশরস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আজ ১৭ মার্চ (রোজ শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু করেন।
সন্ধ্যা ৭টায় দুতাবাস হল রুমে তৃতীয় সচিব শিশির কুমার সরকার এর সঞ্চালনায় আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেওয়াজ জুলকারনাইন এর পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের পর শুরু হয় আলোচনা।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ ইসমাঈল হুসাইন, দ্বিতীয় সচিব আতাউল হক, তৃতীয় সচিব শিশির কুমার সরকার ও রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটেন। এর পর প্রদর্শন করা হয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি প্রামাণ্যচিত্র ‘বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার’।
অনুষ্ঠানে মিশরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রবাসী শিশু-কিশোরদের মাঝে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপে অংশগ্রহণকারী ‘শিশু-কিশোর’দের উভয় গ্রুপের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে সনদ পত্র ও পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কায়রোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও বিভিন্ন পেশায় নিয়জিত নারী-পুরুষগণ সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।