ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে মাল্টায় আসা অভিবাসন প্রত্যাশী ১৬৫ বাংলাদেশি দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে দেশটির কারাগারে বন্দি। তাদের মুক্তির ব্যাপারে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন মাল্টা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে আয়েবা নেতারা বলেন, মাল্টা সরকার বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখছে। মানবিক কারণে তাদের মুক্তি দিতে পারে বলে মত আয়েবা নেতাদের।
ইউরোপের ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র মাল্টা। সেখানে দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে আটকা আছেন ১৬৫ বাংলাদেশি। সম্প্রতি আটক বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে দিপাক্ষিক বৈঠক করতে মাল্টা সফরে যান আয়েবা নেতৃবৃন্দ। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ, প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহসভাপতি ফখরুল আকম সেলিম এবং সহসভাপতি আহমেদ ফিরোজ। এময় তারা দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি কেভিন মাহোনে, নিরাপত্তা এবং আইন প্রয়োগ সংস্থার কর্মকর্তা রায়ান এসপানিয়ল, ডিটেনশন সেন্টারের মহাপরিচালক রবার্ট ব্রিংকাউয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গুরত্বপূর্ণ দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে আয়েবা সংবাদ সম্মেলন করে। সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, আমরা অবৈধ অনুপ্রবেশকে অনুৎসাহিত করতে চাই এবং যারা বন্দি আছে তাদের মুক্তির বিষয়ে আমরা আশাবাদি।
মানবিক কারণে হলেও আটক বাংলাদেশিদের মুক্তি সময়ের ব্যাপার বলেন আয়েবা সহসভাপতি ফখরুল আকম সেলিম। মাল্টার ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী এতিয়েন কালেয়া মনে করেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আইনের মধ্য দিয়েই এই শরণার্থীদের মুক্তি সম্ভব। সংবাদ সম্মেলন শেষে আয়েবা প্রতিনিধি দল মাল্টার কারাগার পরিদর্শন করেন।
উত্তাল সাগরের ঢেউ কিংবা মৃত্যু ঝুঁকি কাঁদে নিয়ে প্রতিনিয়ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ কিংবা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মানুষেরা। লিবিয়া হয়ে তাদের গন্তব্য ইউরোপের প্রথম সারির দেশগুলো। সীমান্ত নজরদারি সংস্থ্যা ফ্রন্টটেক্স জানায়, শুধু চলতি বছরেই ১০০০ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন তিউনিশায় কোস্টগার্ডের হাতে।