গাযার সাথে একমাত্র স্থল সীমান্ত মিসরের সাথেই। আর সেটা হল রাফাহ ক্রসিং। তাই সারা বিশ্ব থেকে সাহায্য আসছে মিসরের আরিশ বিমান বন্দরে। এই বিমান বন্দরটি গাযার নিকটতম। আরিশ হলো মিসরের উত্তর সিনাইয়ে অবস্থিত একটি জেলা শহর। তবে সেখানে পৌঁছা মোটেই সহজ বিষয় না। অদূরেই যুদ্ধ চলছে, বোমাবর্ষণ হচ্ছে বিরামহীন।
সেক্ষেত্রে মিসরের রাজধানী কায়রোই সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। আর সেই কায়রো থেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বিভিন্ন নিরাপত্তা কার্যক্রম সম্পন্ন করে সহযোগিতা পাঠাচ্ছেন রাফাহ বর্ডারে।
আমেরিকা ভিত্তিক এনজিও ”আশ” ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইনকোঃ বাংলাদেশী হিসেবে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসে। মিসরের অন্যতম বৃহৎ এনজিও ‘ইজিপশিয়ান ফুড ব্যাংক’ এর সাথে যৌথ ভাবে গাজায় সাহায্য প্রেরণে কাজ করবে।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেনঃ
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে অসহায়, নির্যাতিত মানুষের সহযোগিতায় মিশর সরকার অনুমোদিত সংস্থার সাথে গাজায় জরুরী সহযোগিতা পাঠাতে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা, যাচাই-বাছাই এর পর দুই দেশের দুই সংস্থার মধ্যে সম্পাদিত হলো মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (MoU),, আলহামদুলিল্লাহ! ASH Foundation এর সাথে MoU সম্পাদন করা এই ইজিপশিয়ান সংস্থা রাফা সীমান্ত ও গাজায় সহযোগিতা পাঠাতে মিশর সরকার অনুমোদিত মাত্র ৫টা সংস্থার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ সংস্থা। এর ফলে আগামী সপ্তাহ থেকেই ASH Foundation এর ভালোবাসার উপহার (জরুরী খাবার সামগ্রী) রেড ক্রিসেন্ট হয়ে গাজায় অবস্থিত জাতিসংঘের (UNRWA) এর সুনির্দিষ্ট বিতরন কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে, ইনশাআল্লাহ। অনুমোদন সাপেক্ষে সরাসরি ফিল্ডে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নিয়্যত রয়েছে, ইনশাআল্লাহ! দোয়ায় শরীক রাখুন প্লিজ।