বাপ্পি লাহিড়ির এতো সোনা কোথায় গেল?
বাপ্পির জন্য কখনোই সোনা শুধু অলংকার ছিল না, ছিল সৌভাগ্যের প্রতীক।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন বাপ্পি লাহিড়ি। অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে কোথায় গেল তাঁর পাহাড় প্রমাণ সোনা। বাপ্পির জন্য কখনোই সোনা শুধু অলংকার ছিল না, ছিল সৌভাগ্যের প্রতীক। কী ছিল না তাঁর সংগ্রহে।
সোনার গলার হার, ব্রেসলেট, লকেট, আংটি তো ছিলই; সাথে তাঁর কাছে ছিল সোনার চায়ের পেয়ালা, জুতো, রোদশমা, ঘড়ি, টুপি।
ছেলে বাপ্পা এই প্রসঙ্গে জানালেন, বাবা সোনা ছাড়া কখনও বাড়ির বাইরে পা রাখতেন না। ভোর ৫টায় ফ্লাইট ধরতে হলেও সোনার গয়না পরে বের হতেন। বাপ্পির ভক্তরা যাতে সেইসব সোনার গয়না নিজেদের চোখে দেখতে পারেন সোনাগুলো সংগ্রহশালায় রাখা হবে। সোনার জুতো, ঘড়ি, রোদচশমা, টুপি, গয়না দেওয়া হবে মিউজিয়ামে। দুই ভাইবোন ঠিক করেছেন এই সব সোনার অলংকার তাঁরা গচ্ছিত রেখে দেবেন সারা জীবন প্রয়াত বাবার স্মৃতিতে। যাতে বাবা চলে যাওয়ার পরেও তাঁর ছাপ থেকে যায় সারাজীবন।
ভারতের ‘গোল্ড ম্যান’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। বাপ্পি বলতেন, ‘গোল্ড ইজ মাই গড’! জানা যায়, প্রায় ১ কোটির সোনা ও রূপার গয়না রয়েছে বাপ্পির! সোনার গয়না পরার কারণ নিজেই জানিয়েছিলেন একবার নিজের সাক্ষাৎকারে। জানিয়েছিলেন আমেরিকান রকস্টার এলভিস প্রেসলির থেকেই তিনি উৎসাহ পেয়েছিলেন এই ব্যাপারে।
প্রয়াত সুরকার-গায়ক এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘হলিউডে বিখ্যাত গায়ক এলভিস প্রেসলি গলায় সোনার হার পরতেন। আর আমি ছিলাম প্রেসলির বড় ভক্ত। আমি ভাবতাম আমি যদি কখনও সাফল্য পাই, তাহলে আমি নিজের ইমেজ আলাদাভাবে তৈরি করব। ভগবানের আশীর্বাদে আমি সোনা দিয়ে তা করতে পেরেছি। অনেক লোকই ভাবেন আমি দেখনদারির জন্য সোনার গয়না পরি। কিন্তু তা সত্যি নয়। সোনা আমার ভাগ্য। ’