শ্বশুর ও বৌমার মাঝে আলাপচারিতা
আমাদের ঘরগুলো হোক শান্তির নীড় এবং পরিবারগুলোয় সুখ-শান্তিতে ভরে উঠুক।
সাধারণত বাসায় আমরা সকল সদস্য মিলে এক টেবিলে খানাপিনা করি। আজ সকালে নাস্তা করার সময় বৌমাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার ছেলে তোমার প্রতি যত্নশীল তো?
বৌমা হেসে জবাব দিল, হ্যাঁ আব্বা। আমি বললাম, আমি চাই আমাদের ছেলেরা হবে বৌ পাগল এবং মেয়েরা হবে পতিপরায়ণা। আমাদের ঘরগুলো হবে এক একটি বিনোদন কেন্দ্র। স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানরা হলো বিনোদনের সর্বোত্তম উপকরণ। তাদের পেছনে সময়দান ইবাদত, রয়েছে প্রচুর সওয়াব।
বিনোদন আমাদের দীনেরই অংশ। রসুলল্লাহ সা. ও আয়েশা রা.-এর উদাহরণও পেশ করলাম। তিনি আমাদের আদর্শ। আয়েশা রা. গ্লাসে যেখানে ঠোঁট লাগিয়ে পানি পান করতেন গ্লাসটা হাত থেকে নিয়ে রসুলল্লাহ সা. সেখানে ঠোঁট লাগিয়ে পানি পান করতেন। আবার গোশত খাবার সময়ও এমনটি করতেন। এসবই ভালোবাসার নিদর্শন।
দুর্ভাগ্য, আজ আর আমাদের ঘর প্রশান্তি দিতে পারছে না, শান্তি স্বস্তি ও আনন্দ পেতে মানুষ ছুটছে বিভিন্ন ক্লাবে এবং জড়িয়ে পড়ছে পরকীয়াসহ নানা অনৈতিক কাজে। আল্লাহ তায়ালা স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান- সন্ততির মাঝে রেখেছেন প্রশান্তি। মানবপ্রকৃতিতে পরস্পরের প্রতি রয়েছে তীব্র আকর্ষণ। আবার জৈবিক প্রয়োজন পূরণের সাথে প্রভূত সওয়াবেরও সুসংবাদ শুনিয়েছেন।
ছেলেমেয়েদের সন্তুষ্টিতে পিতামাতারও সন্তুষ্টি। আল্লাহ তায়ালা সন্তান দ্বারা আমাদের চোখকে শীতল করে দিন। আমিন।