জামিন মিলল পরীমনির
২৬ দিন পর জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি
আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত শুনানি শেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তারের ২৬ দিন পর জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
এদিন আসামি পরীমনির পক্ষে তাঁর আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান আদালতে জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২২ আগস্ট পরীমনির আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান আদালতে এই জামিন আবেদন করেন। এরপর আদালত জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে শুনানির দিন ধার্য করে দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীমনির জামিন আবেদনের ওপর অবিলম্বে অথবা আদেশের কপি পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে শুনানির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে গত ২২ আগস্ট দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা-ও জানাতে বলা হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওই দিনই রুলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
গত ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। পরদিন গত ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করে। একই দিন পরীমনি ও তাঁর সহযোগীর চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দিপুর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৩ আগস্ট দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ১৯ আগস্ট আদালত পরীমনির জামিন আবেদন খারিজ করে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তৃতীয় দফার রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।