লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তারপর বাপ্পি লাহিড়ি, শোকস্তবদ্ধ অনুরাগীমহল

সঙ্গীত জগতে একের পর এক নক্ষত্রপতন

মাত্র কয়েকদিনের ফারাক । একের পর এক নক্ষত্রপতন সঙ্গীত জগতে। লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আর তারপর বাপ্পি লাহিড়ি। এ তিন সঙ্গীতশিল্পীর প্রয়াণে শোকস্তবদ্ধ অনুরাগীমহল।

লতা মারা যাওয়ার ৯ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ও। শিল্পীর মৃত্যুর পর নতুন করে শেয়ার হচ্ছে এই পোস্ট। বাপ্পি লাহিড়ি ‘লতা দিদি’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে লিখেছিলেন, ‘ মা !’  এখন অনুরাগীরা দুই শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শেয়ার করছেন ছবিগুলি।

প্রথমে লতা মঙ্গেশকর, তারপর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর তারপর বাপ্পি লাহিড়ি, সঙ্গীত জগতের তিন নক্ষত্রের পতন হল দিনকয়েকের মধ্যেই। এ ক্ষতি সত্যি অপূরণীয়। একটা বড় ধাক্কা! বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুর পর ইনস্টাগ্রামে তাঁর শেয়ার করা লতা মঙ্গেশকরের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন ‘মা’য়ের কাছে চলে গিয়েছেন তিনি।

লতা মঙ্গেশকর যখন মারা যান তখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। যদিও কাওকে ঘুণাক্ষরে জানতে দেননি হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই হয়তো লতার মৃত্যুর পর শোকজ্ঞাপন করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু লিখেছিলেন, ‘মা’! ছবিটি সাদা-কালো। যাতে দেখা গিয়েছিল সুর-সম্রাজ্ঞী, কোকিল কোণ্ঠীর কোলে বসে রয়েছেন ছোট্ট বাপ্পি। হয়তো এতটাই শোকাতুর ছিলেন যে মা ছাড়া কিছুই লিখতে পারেননি। মা মারা যাওয়ার দিনকয়েকের মধ্যেই চলে গেলেন তিনিও!

লতার মৃত্যুর পর বাপ্পি লাহিড়ি জানিয়েছিলেন, ‘আরও একবার মাতৃহারা হলাম।’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ‘২৭ নভেম্বর মা আমায় হাতে লেখা একটা বার্তা পাঠায়। যাতে তাঁর আশীর্বাদ ছিল। আর আমার জন্য উপহার হিসেবে ছিল রাম-লক্ষণ-হনুমানের মূর্তি। আর আমার বউয়ের জন্য শাড়ি। আমকে ছেলের মতোই দেখতেন তিনি। আমার বয়স যখন ২ বছর তখন থেকে চিনতেন, আমাদের কলকাতার বাড়িতে আসতেন।’

কোভিড পরবর্তী জটিলতায় ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা যান লতা। তিনিও প্রায় ১ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালে। সেরেও উঠেছিলেন অনেকটা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে কলাকাতার অ্যাপোলোতে মারা যান গানের আরেক প্রতিভা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি, স্তব্ধ হয়ে যায় কোকিল-কণ্ঠ। সরস্বতী বিসর্জনের দিনই সুরলোকে পাড়ি দেন সুর-সম্রাজ্ঞী। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত ৮ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হন নবতিপর শিল্পী। তারপর অন্য সুরলোকে যাত্রা করেন তিনি।

আর ১৫ ফেব্রুয়ারি, রাত পৌনে ১২টা নাগাদ জুহুর ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে জীবনাবসান। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। গত একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপ্পি ছিলেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সূত্র
এবিপি/হিন্দুস্তান টাইমস

অনলাইন ডেস্ক

সংবাদটি এবং সংযুক্ত মিডিয়া (ছবি-ভিডিও-গ্রাফ) বিভিন্ন দেশীয় অথবা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা হতে সংগ্রহীত অথবা অনুবাদকৃত। এর কোন কৃতিত্ব অথবা কপিরাইট আমাদের নয়।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button