Site icon World 24 News Network

কায়রো অপেরায় বাংলাদেশের রমজান রজনী

মিশরের রাজধানী কায়রো মহানগরীর কেন্দ্রস্থল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঐতিহাসিক নীলনদ। এই নীলনদের তীরে অবস্থিত বিখ্যাত (দার এল-অপেরা-ইল-মাসরিয়া) কায়রো অপেরা হাউজ। এখানেই আজ রাতে বেজে ওঠে বাঙালির চিরপরিচিত বাংলা গানের মধুর সুর, বাংলা কবিতার ছন্দের মোহিনী এবং হাস্যরসের কৌতুক। অপেরা হাউজের কানায় কানায় ভরে যায় মিশর প্রবাসী বাংলাদেশি এবং মিশরীয় দর্শক শ্রোতায়।

‘বাংলাদেশ রমাদান নাইটস’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে উঠে আনন্দ বিনোদনের স্মরনীয় ঘটনা। শিশির সরকারের সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম এর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাতের আলোকোজ্জ্বল জমকালো আয়োজন।

বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সহ মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্রদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন এর সাংস্কৃতিক ফোরামের সদস্যরা বাংলা ও আরবি ভাষায় বিভিন্ন সঙ্গীত, কবিতা ও কৌতুক পরিবেশন করে।

কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দূতাবাসের প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীরা দূতাবাস এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে গঠিত দলের পরিবেশিত সঙ্গীত সবাইকে বিমুগ্ধ করে। প্রতিটি গান শেষ হওয়ার সাথে সাথে সবাই করতালিতে ফেটে পড়ে। মিশরের জনপ্রিয় কায়রো অপেরা হাউজে এধরণের একটি উপভোগ্য বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান মধ্যরাত অবধি বসে বসে দেখতে পেরে সবাই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত মিশরে এই প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি আশা প্রকাশ করি ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এজাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারব। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে স্বচক্ষে দেখতে পাবে।

রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠান শেষে কায়রো অপেরা হাউজের সংশ্লিষ্ট কর্ম কর্তাদেরকে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।

বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন রাতে বিভিন্ন দেশ তাদের নিজ নিজ ‘রমাদান নাইটসের অনুষ্ঠান’ পরিবেশন করে। ইতিমধ্যেই স্বাগতিক মিশর ছাড়াও সুদান, ইয়েমেন, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছে।

মিশরের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও গনমাধ্যম বাংলাদেশ রামাধান নাইট অনুষ্ঠানটি প্রচার করে।

Exit mobile version