Site icon World 24 News Network

শিক্ষাব্যবস্থায় মাতৃভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব (২)

সাধারণ মানুষকে শিক্ষার আওতায় আনতে হলে প্রয়োজন মাতৃভাষায় শিক্ষাদান

আমাদের প্রয়োজন গুণগত ও নৈতিক শিক্ষা। আমাদের দেশের অনেক উচ্চপদস্থ আমলা ও কর্মকর্তা নৈতিক দিয়ে একেবারে অধপতিত। তারা ঘুষ-দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। দুর্নীতি আমাদের সকল সম্ভাবনা ধ্বংস করে দিচ্ছে। মাদ্রাসা ব্যতীত আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষার কোনো সুযোগ নেই।

শিক্ষার মান মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। মাতৃভাষার উৎকর্ষতা ছাড়া গুণগত ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান সম্ভব নয়। দেশে উচ্চবিত্ত শ্রেণির সংখ্যা খুবই সীমিত। সাধারণ মানুষকে শিক্ষার আওতায় আনতে হলে প্রয়োজন মাতৃভাষায় শিক্ষাদান ও শিক্ষাকে সহজ ও আনন্দঘন করা। এখানেই আমরা ব্যর্থ। উচ্চশিক্ষা সীমিত করে কর্মমুখি ও নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো দরকার এবং সেটি করতে হলে অবশ্যই মাতৃভাষা চর্চার ওপর গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।

আমাদের দেশে নৈতিক শিক্ষার পুরোটায় বলা যায় অপ্রাতিষ্ঠানিক। অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে জুমা ও ঈদগাহে বক্তৃতা, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আলোচনা, বইপত্র, পত্রিকা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ইউটিউব, ফেসবুকসহ নানা অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষাদান। এসব ক্ষেত্রে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম।

নৈতিকভাবে অধপতিত এই সমাজে মানুষকে চরিত্রবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দ্বীনমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আশার দিক, মানুষ ক্রমান্বয়ে তার সন্তানদেরকে কুরআনে হাফেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা দানের দিকে ঝুঁকছে। এগুলোও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য না পাওয়ায় তেমন বিকশিত হতে পারছে না।

চলবে…

শিক্ষাব্যবস্থায় মাতৃভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব (১)

Exit mobile version