গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে দিয়েছে তালেবান সরকার। তবে আপাতত ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ৬টিতে মেয়ে শিক্ষার্থীরা পাঠে অংশ নিতে পারবে।
ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তা জানান বুধবার লাঘমান, নানগারহার, কান্দাহার, নিমরোজ, ফারাহ ও হেলমন্দ প্রদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মেয়েরা পড়াশোনার জন্য যেতে পারবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের ক্ষেত্রে তালেবানকে সহায়তা করবে।
বুধবার অল্পসংখ্যক মেয়ে শিক্ষার্থীকে বোরখা পরে লাঘমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখেছেন এএফপির প্রতিনিধি। তিনি জানান, কিছু মেয়ে ঐতিহ্যগত সালোয়ার কামিজ পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম ছিল। মেশিনগান নিয়ে প্রবেশপথে পাহারায় ছিলেন তালেবান যোদ্ধারা। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। সাংবাদিকদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
নানগারহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাকমল এএফপির সাংবাদিককে বলেন, ক্লাস শুরু হওয়া খুবই আনন্দের। তবে তালেবান আবারও ক্লাস বন্ধ করে দিতে পারে। মালিক সামাদি নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শরীয়া আইন অনুযায়ী ক্লাস চলবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। ’
নরওয়েতে পাশ্চাত্যের সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবানের বৈঠকের এক সপ্তাহ পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলো। ওই বৈঠকে নারী অধিকার বাড়ানো, বিদেশে আফগানিস্তানের কয়েক শ কোটি ডলারের বাজেয়াপ্ত সম্পদ ছাড়ানো এবং আটকে থাকা বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে আলোচনা হয়। বৈদেশিক সাহায্য আটকে থাকায় আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোমল হওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।