তিনি একাধারে লেখক, সম্পাদক, নিরীক্ষক ও ইসলামি তুরাস বিষয়ক পাণ্ডুলিপি গবেষক। একসময় কায়রোর প্রসিদ্ধ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘মারকাজুল বাহসিল ইলমি ওয়া তাহকিকুত তুরাস’ এ গবেষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ‘মাজমাউল ফিকহিল ইসলামি আমেরিকা’-এর ‘কায়রো শাখায়’ কাজ করেছেন দীর্ঘ দিন। সবমিলিয়ে ইসলামি তুরাস বিষয়ক গবেষণায় একজন প্রফেশনাল ব্যক্তিত্ব তিনি..
বলছিলাম, বাংলাদেশের কৃতী সন্তান তরুণ গবেষক মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ আযহারীর কথা। তিনি প্রায় দের যুগ যাবৎ মিসরে অধ্যয়ন ও গবেষণারত আছেন। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক থিওলজি অনুষদ থেকে গ্ৰাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। সাথে সাথে ‘জামিআতুদ দুওয়ালিল আরাবিয়া’ থেকে ‘উলুমুল মাখতুত ওয়া তাহকিকুত তুরাস’ এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। আরব বিশ্বের ইলমুল মাখতুতাতের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘মাহাদুল মাখতুতাতিল আরাবিয়া, কায়রো’-এর সাথেও তার পুরনো সম্পৃক্ততা।
আল-আযহারে তার এমফিল গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল- ‘আর-রিওআয়াতুল মুরসালা আল্লাতি ইস্তাদাল্লা বিহা আবু হানিফা ওয়া আসহাবুহু ফিল মাসায়িলিল ফিকহিইয়্যাহ: জামআন ওয়া দিরাসাতান’ বা ‘ইমাম আবু হানিফা রহ. ও তার সাথীগণ ফিকহী মাসআলাসমূহে যেসকল মুরসাল রিওয়ায়েসমূহ দিয়ে দলিল দিয়েছেন: সংকলন ও নিরীক্ষণ’।
প্রচার বিমুখ এ তরুণ গবেষকের অন্যতম কৃতিত্ব ‘মাজমুউ রসায়িল ফি ফাদায়িলি লাইলাতিন নিসফি মিন শাবান’। এ গ্ৰন্থে তিনি ইসলামি তুরাসের চারটি মূল্যবান রিসালার সংকলন করেছেন। দক্ষ হাতে আঞ্জাম দিয়েছেন কিতাবটির ‘তাহকিক, তাখরিজ ও তালিক’ এর কঠিনতম কাজগুলো। কায়রোর প্রসিদ্ধ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘দারুস সালিহ’ থেকে ২০২২ সালে কিতাবটি ছেপে এসেছে।
কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২৩’ এ কিতাবটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। বাংলাদেশেও ‘মাকতাবাতুল আমজাদ’ কিতাবটি পরিবেশন করছে। তরুণ এ গবেষকের তাহকিককৃত শবে বরাত বিষয়ক এ গ্ৰন্থটি আরব বিশ্বের বড় বড় আলিমদের প্রশংসা কুড়ানোর সাথে সাথে জায়গা করে নিয়েছে অনুসন্ধিৎসু পাঠকদের হৃদয়েও।
এবারের শবে বরাতকে কেন্দ্র করে জর্ডান ও মিসরসহ আরব বিশ্বের বেশকিছু দেশে কিতাবটির দরসও হয়েছে।