Site icon World 24 News Network

আমরা এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি

সংগৃহীত

দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং সামনে খুলে দেয়ার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানা যাচ্ছে না। সবকিছু খোলা। হাটবাজার, হোটেল-রেস্তোরা, বিনোদন কেন্দ্র, গণপরিবহন সবই স্বাভাবিক চলছে। বন্ধ মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইউনিসেফের দৃষ্টিভঙ্গি হলো বন্ধ করতে হলে সবশেষে বন্ধ করতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং খুলে দেয়া হলে সবার আগে খুলে দিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

করোনা কিসে বাড়ে আর কিসে কমে এখনো সেটি নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে শিক্ষার্থীদের মাঝে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার দুই-ই কম। আমার পর্যবেক্ষণ, শিশু-কিশোর-যুবক এবং যারা শারীরিক পরিশ্রম করে ও শরীরে রৌদ্র লাগায় তাদের করোনা ঝুঁকি অনেক কম। এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন। এটি খুবই ইতিবাচক।

দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা বিমুখ হয়ে পড়েছে। মোবাইলাসক্তি তাদেরকে দারুণভাবে পেয়ে বসেছে। শিশু-কিশোররা হয়ে পড়ছে অসামাজিক, অসহিষ্ণু, বন্ধুহীন (বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে মোবাইলের সাথে) এবং পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাহীন। খিটখিটে মেজাজের কারণে অভিভাবকরা অসহায় হয়ে পড়েছে। শক্ত করে কিছু বলার সাহস পিতা-মাতা হারিয়ে ফেলছেন।

গ্রামে মাঝে করোনার প্রকোপ বেড়েছিল এবং মানুষ বেশ শংকিতও হয়ে পড়েছিল। এবারে বাড়ি এসে দেখছি সেই ভীতি আর নেই।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে এবং সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। আমাদের স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে সকল বাধা অপসারণ করা দরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছাড়া বর্তমানে সবকিছুই স্বাভাবিক। অন্যান্য রোগ-ব্যাধির মতো করোনাকেও মেনে নিয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি টিকা প্রদান আরো গতিশীল করতে হবে।

সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বয়সের অপরিপক্বতার কারণে প্রাইমারি ও হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরা রাত জেগে মোবাইল চালায় এবং একেবারে ঘুম থেকে জেগে লাঞ্চ করে। খাবার গ্রহণের প্রতি তাদের ভয়ানক অনীহা। খেলাধুলা, বইপড়া বা হবি বলে কিছু নেই। একটিই নেশা আর সেটি হলো মোবাইলে গেম খেলা।

আমার ধারণা করোনার কারণে গ্রামীণ জনপদের শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরা অনলাইনে ক্লাস করতে অভ্যস্ত নয়। গ্রামে প্রাইমারি ও হাই স্কুলে খেলার মাঠ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন এসেম্বলিতে আধা ঘন্টা পিটি করলেই একজন শিক্ষার্থীর সুস্থতার জন্য যথেষ্ট এবং করোনা থেকে সুরক্ষা পাবে ইনশা-আল্লাহ। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই অন্তত স্কুলগুলো খুলে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

শিক্ষানীতির রুহানিয়্যাত ও শিক্ষার অধিকার

Exit mobile version