আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের তাফসীর ও উলূমুল কুরআনের ওপর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে সবথেকে কম সময়ে এমফিল ডিগ্রী সম্পন্নকারীর বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন মাওলানা শাইখ হাবিবুর রহমান আযহারী। তার এমফিল থিসিসে মাত্র দেড় বছর সময় লাগে। বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার সদর থানার অধীনে হরিণখানা গ্রামে ১১ নভেম্বর ১৯৮৮সালে তার জন্ম। তার পিতা মুহাম্মাদ আব্দুল হাকিম একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার।
তিনি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ হতে অদ্যাবধি দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর যাবত আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে আসছেন। আযহারের মা’হাদ তাহফিযুল কুরআন মসজিদুল হারামাইন থেকে পুরা কুরআন শুনিয়ে হিফজের সার্টিফিকেট অর্জন করেন ২০১৪ সালে। আল-আযহারের মা’হাদ থেকে কৃতিত্বের সাথে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেন ২০১৪ সালে। এরপর আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটির “তাফসির অ্যান্ড কুরআনিক সায়েন্স” ডিপার্টমেন্ট থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে ২০১৮ সালে গ্রাজুয়েশন সমাপ্ত করেন।
ভালো ফলাফলের সঙ্গে ২০২০ সালে সমাপ্ত করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন। সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করে ৯/২/২০২৩ সালে সম্পন্ন করেন তার এমফিল থিসিস।
হাবিবুর রহমান আযহারীর এমফিলের থিসিস গবেষণার প্রধান সুপারভাইজার ছিলেন শ্রদ্ধেয় উস্তাদ শায়বান মুহাম্মাদ আতিয়া। (অধ্যাপক: তাফসির ও উলুমুল কুরআন বিভাগ)।
সহকারী সুপারভাইজার ছিলেন ডক্টর সাইয়েদ মুহাম্মদ ইউনূস
(অধ্যাপক: তাফসির ও উলুমুল কোরআন বিভাগ)
এছাড়াও আরো দুজন বিখ্যাত মিশরীয় তাফসিরবিদ তার গবেষণা থিসিসের পর্যবেক্ষক ছিলেন। তারা হলেন, শ্রদ্ধেয় উস্তাদ ডক্টর যাকি মুহাম্মাদ আবু সারি (সাবেক অধ্যাপক: তাফসির ও উলুমুল কুরআন বিভাগ)। শ্রদ্ধেয় উস্তাদ ডক্টর আব্দুল কারিম কাসেব (অধ্যাপক: তাফসির ও উলুমুল কোরআন বিভাগ)
উল্লেখ্য, এ থিসিস ডিসকাশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মিসরে অধ্যায়নরত সব বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সম্মিলিত প্লাটফর্ম ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের’ সম্মানিত সভাপতি, দায়িত্বশীলগণ এবং আল-আযহারে অধ্যায়নরত কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের সভাপতি ও অন্যান্য দায়িত্বশীল সহ বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।