মেয়েদের ইসলামী উচ্চ শিক্ষার গুরুত্ব

ইসলাম শুধু প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষাই নয়, বরং উচ্চতর শিক্ষার প্রতিও সমান গুরুত্বারোপ করে।

ইসলাম জ্ঞানার্জনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং তা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য আবশ্যক বলে ঘোষণা করেছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক।” (ইবন মাজাহ, হাদিস: ২২৪) এটি স্পষ্ট যে, ইসলাম শুধু প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষাই নয়, বরং উচ্চতর ইসলামি শিক্ষার প্রতিও সমান গুরুত্বারোপ করে।
মেয়েদের ইসলামী উচ্চ শিক্ষার গুরুত্ব
১. পারিবারিক ও সামাজিক সংস্কারের জন্য
একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইসলামী উচ্চশিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নারীরা নিজেদের জীবনকে শরিয়ত অনুযায়ী পরিচালনা করতে শেখেন এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। আল্লামা ইকবাল যথার্থই বলেছেন, “মা একটি জাতির মূল ভিত্তি।”
২. নারীর আত্মরক্ষা ও আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি
ইসলামী জ্ঞান নারীদের নৈতিকতা ও আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি করে, যা তাদের নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন করে এবং বিভ্রান্তিকর মতবাদ থেকে রক্ষা করে।
৩. সমাজ ও উম্মাহর কল্যাণে অবদান
নারীরা ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণমূলক কাজে অংশ নিতে পারেন—যেমন নারী-শিক্ষা, ইসলামী পরামর্শক, মহিলা মাদরাসার শিক্ষিকা বা গবেষক হিসেবে কাজ করা। ইতিহাসে অনেক মহীয়সী নারী—যেমন, আয়েশা (রা.), উম্মে সালমা (রা.)—ইসলামী জ্ঞানচর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
৪. শরিয়াহ ও ফিকহ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ
নারীদের ইসলামী আইন (ফিকহ) সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি, যাতে তারা নিজেদের ইবাদত-বন্দেগি সঠিকভাবে পালন করতে পারেন এবং পারিবারিক ও সামাজিক জীবন শরিয়াহ অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারেন।
মেয়েদের ইসলামী উচ্চশিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়, যা শুধুমাত্র তাদের ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য নয়, বরং গোটা সমাজের কল্যাণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

হুযাইফা আহমাদ আযহারী

শিক্ষার্থী, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button