তালেবানকে স্বীকৃতি দিলে আফগান উদার রাষ্ট্র হবে : জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। আজকে যদি তাদের স্বীকৃতি না দেই তারা ভারতের হিন্দুত্ববাদের দিকে যাবে। উদারতা পন্থী ইসলামিক রাষ্ট্র না হয়ে তারা কঠোর ধর্মান্ধ রাষ্ট্র হবে। সে জন্য আমরা যদি তাদের স্বীকৃতি দেই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করি তাদের আমরা প্রভাবিত করতে পারব। একটা উদার ইসলামিক রাষ্ট্র হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘করোনা ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

দেশে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, কেউ কিন্তু বললেন না ভ্যাকসিন উৎপাদনে খরচ কত হবে, দাম কত হবে। সব কিছু লুকিয়ে রাখা এই সরকারের একটা অভ্যাস। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেশকে ধবংশের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সব কিছু খোলা। সরকার মনে করে স্কুল-কলেজ খুলে দিলে আন্দোলন হবে। তাদের অন্যায় বিরুদ্ধে ছাত্ররা আওয়াজ তুলবে। তারা ভ্যাটবিরোধী করেছে, নিরাপদ সড়ক করেছে। আর দেরি না করে কোনো ধানাই পানাই না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে যা হয় তাই হচ্ছে। গুম বাড়ছে। আমেরিকা অনুরোধ করেছিল আফগানদের সাময়িকভাবে যায়গা দিতে, গোয়ার্তুমি করে সরকার সেটা না করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এটা একটা ভুল কাজ করলেন। এই ভুলটা করে, জীবনের বড় স্বপ্ন একটা নোবেল প্রাইজ পাওয়া তার থেকে দূরে চলে গেলেন। এই অনুরোধ রাখা উচিত ছিল।

তিনি আরো বলেন, একই ভুল আজকে করলেন বিএনপির কর্মীদের উপর আঘাত করে। আপনারা খুব খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। এমন পরিস্থিতি আপনাদের সঙ্গেও হতে পারে একদিন। এইসব বন্ধ করেন। রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছেন বলে আপনাদের সাহস বেড়ে গেছে। বিএনপির নেতাদের বলব আপনারা রুখে দাড়ান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, আপনি চাইলেই প্রতিবেশীকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। আজকে ভারত আমাদের প্রতিবেশী। আমাদের পুতুল সরকার ভারতের তাবেদারি করে চলেছে। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করছে নিজের স্বার্থে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করার সুবিধা করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কোনো প্রতিবেশী দেশের সাথেই ভারতের সম্পর্ক ভালো না। তারা সবাইকেই শোষণ করতে চায়। আমরা ভারতকে অনেক সুবিধা দেই, বিনিময়ে কিছুই পাই না। তিস্তা চুক্তি, ফারাক্কা চুক্তি নিয়ে গত ১৫ বছরে নানান আশা দিলেও কোনো চুক্তি সফল করতে পারেনি সরকার। কাজেই সবাইকে ঐক্য বদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, এনডিএম এর সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুজ্জামান হীরা, গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরদ্ম রামকৃষ্ণ সাহা, যুগ্ম আহ্বায়ক বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুক হোসাইন, লেবার পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট জহুরা জুঁই, যুব মিশনের আহ্বায়ক ইমরুল কায়েস, ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, ছাত্র মিশনের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ প্রমূখ।

অনলাইন ডেস্ক

সংবাদটি এবং সংযুক্ত মিডিয়া (ছবি-ভিডিও-গ্রাফ) বিভিন্ন দেশীয় অথবা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা হতে সংগ্রহীত অথবা অনুবাদকৃত। এর কোন কৃতিত্ব অথবা কপিরাইট আমাদের নয়।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button