‘খবরদার! কাউকে একটি টাকাও দিবেন না’ স্ট্যাটাসে তোলপাড়
ভাতাপ্রাপ্তিতে দুস্থ অসহায়দের কাছ থেকে জনৈক ইউপি সদস্য টাকা নিয়েছেন। এমন একটি বিষয় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের নজরে আসে। এর পরেই ভাতাসংক্রান্ত টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। এতে করে এলাকায় তোলপাড় চলছে।
চেয়ারম্যানের দেওয়া স্ট্যাটাস নিয়ে স্থানীয়দেরকে বলতে শোনা যায়, কোনো ব্যক্তি সৎ না থাকলে এভাবে প্রকাশ্যে স্ট্যাটাস দিতে পারে না। স্ট্যাটাসটি দেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ২ নম্বর বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোয়ারী।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে এই চেয়ারম্যান অভিযুক্ত সদস্যের নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকলে তা এক দিনের মধ্যেই ফেরত দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাতেই অন্য ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে অভিযুক্ত সদস্যকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছি। এমন নোংরা ঘটনায় আমার পরিষদ কোনো দায় নেবে না।’
কালের কণ্ঠ’র পাঠকদের জন্য চেয়ারম্যানের দেওয়া স্ট্যাটাসটি হবহু তুলে ধরা হলো-
‘২ নম্বর বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদে যারা বিধবা-বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত হয়েছেন তারা কোনো অবস্থাতেই কারো সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন করবেন না। সোজা কথা- কেউ যদি এসে বলে আপনি ভাতা পেয়েছেন এখন টাকা দেন বা টাকা দেওয়া লাগবে, খবরদার! আপনি একটি টাকাও দেবেন না। কেউ যদি টাকার জন্য চাপাচাপি করে আপনি সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদে এসে অভিযোগ দেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যবস্থা নেব।
উক্ত ভাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সারা দেশে বিতরণ করেছেন। ২ নম্বর বাকিলা ইউনিয়নবাসীর উক্ত ভাতাপ্রাপ্তিতে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হচ্ছেন, মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মেঘনা পূর্বপাড়ের কৃতী সন্তান মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর-উত্তম এমপি মহোদয়। ২ নম্বর বাকিলা ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে এমপি মহোদয়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা।’