ঢাকার পথে ইজিপ্ট এয়ারের প্রথম ফ্লাইট
২৯০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে ইজিপ্ট এয়ার
হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা আর জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার লীলাভূমি মিশর। দেশটিতে বসবাসরত হাজারো প্রবাসীর স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশর সঙ্গে আজ আকাশপথে সরাসরি যুক্ত হলো বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার এই দেশটি। আজ ১৪মে (রবিবার) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১.৪৫ মিনিটে ২৯০জন যাত্রী নিয়ে কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে মিশরের পতাকাবাহী ইজিপ্ট এয়ারলাইন্সের MS 970 উরোজাহাজটি ।
ঢাকাগামী অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার উরোজাহাজটি প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট আকাশে উড়ে বাংলাদেশের শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৭টায় অবতরণ করার কথা রয়েছে এবং ১ঘন্টা ৪৫ মিনিট পর ঢাকা থেকে কায়রোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে বাংলাদেশ সময় ভোর ৫.৪৫ মিনিটে নিজ ভূমিতে অবতরণ করবে বলে জানিয়েছেন কায়রোস্থ ইজিপ্ট এয়ার প্রতিনিধি উসামা ইব্রাহিম। কায়রো থেকে ঢাকা থেকে ফ্লাইটের রিটার্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ ডলার (৭৫ হাজার টাকা)।
দুনিয়ায় বৃহত্তম উড়োজাহাজ সেবা সংস্থা স্টার এলায়েন্সের সদস্য ইজিপ্ট এয়ার সপ্তাহে দু’দিন অত্যাধুনিক ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭-৯ বিমানের মাধ্যমে ঢাকা-কায়রো ফ্লাইট পরিচালনা করবে। প্রাথমিকভাবে সপ্তাতে দুটি করে ফ্লাইট চলবে ঢাকা কায়রো রুটে। ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বেবিচকের কাছে অনুমতিও চাইবে এয়ারলাইন্সটি।
ইজিপ্ট এয়ার জানায়, এই ফ্লাইট চালুর ফলে পর্যটন, শিক্ষা ও শ্রমবাজারের সুযোগ বাড়বে বাংলাদেশের। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকার দেশগুলোতে যাতায়াতের সময় ও অর্থেরও সাশ্রয় হবে।
স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এই মুসলিম দেশটি। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কায়রো সফর করেন। ঢাকা এসেছিলেন মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতও। তারপর থেকে বেড়েছে যোগাযোগ-বন্ধুত্ব। দেশটির আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করছেন প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। দেশটির শ্রমবাজার ও বাণিজ্যেও বাড়ছে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ।