দোষ অন্বেষণ ও গীবত ঘৃণ্য কাজ
মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া কি পছন্দ করবে?
- শিক্ষা : এই একটি আয়াতই মানুষের ব্যবহারিক জীবন সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতে পারে এবং সমাজে সৌহার্দ্র, সম্প্রীতির প্রসার ঘটাতে পারে। আমাদের সামাজিক জীবন বড়ো কলুষিত হয়ে পড়েছে। পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ সমাজ জীবনকে অশান্তিতে ভরে দিয়েছে। এর মূলে রয়েছে ধারণা- অনুমান, মানুষের দোষ অন্বেষণ ও গিবত। আল্লাহপাক এসব সর্বনাশা দোষ-ত্রুটি থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
‘হে ইমানদারগণ! বেশি বেশি ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো, কারণ কোনো কোনো ধারণা ও অনুমান গুনাহ। দোষ অন্বেষণ করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গিবত না করে। এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ অধিক পরিমাণে তওবা কবুলকারী এবং দয়ালু’- সুরা হুজুরাত ১২
নামকরণ : এই সুরার ৪র্থ আয়াতের হুজুরাতকে নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
নাজিলের সময়কাল : এই সুরাটি মাদানি। তবে পূর্ণ সুরা একত্রে নাজিল না হয়ে বিভিন্ন সময়ে অংশবিশেষ নাজিল হয়েছে। বিষয়বস্তুর সাদৃশ্যের কারণে এখানে একত্রিত করা হয়েছে। ৪র্থ আয়াত সম্পর্কে সিরাত গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়, হিজরি ৯ম সনে বনি তামিম গোত্রের এক প্রতিনিধি দল এসে রসুল সা.-এর পবিত্র স্ত্রীগণের হুজরা বা গৃহের বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে।
বিষয়বস্তু : এই সুরার বিষয়বস্তু হচ্ছে মুসলমানদের এমন আদব-কায়দা, শিষ্টাচার ও আচরণ শিক্ষাদান, যা তাদের ইমানদারসুলভ চরিত্র ও ভাবমূর্তির উপযুক্ত এবং মানানসই।