ঈমানের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্তর

মানুষের ক্ষতি হয় এমন সকল কাজ অবশ্যই ইমান বিধ্বংসী

বিশেষ দ্রষ্টব্য
  • গতকাল মাগরিবের পূর্বে মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি জামে (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন) মসজিদের সম্মানিত খতিব ও ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি আহমাদুল্লাহ সাইয়্যাফ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, ইমানের সর্বোচ্চ স্তর হলো 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' এবং সর্বনিম্ন স্তর হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলা।

মানুষের জন্য কল্যাণকর সকল কাজকে রসুলুল্লাহ সা. ইমানের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাই বলা যায়, রাস্তা থেকে একটি ইটের টুকরা সরিয়ে দেয়া ইমানেরই পরিচায়ক। মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ ইমানের পরিচয় হলে বিপরীতে মানুষের ক্ষতি হয় এমন সকল কাজ অবশ্যই ইমান বিধ্বংসী হবে অর্থাৎ একজন ইমানদার কোনভাবেই মানুষের ক্ষতি করতে পারে না। খতিব মহোদয় বলেন, ছোট-বড়ো কোনো ক্ষতিকর কাজই ইমানদারের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি দুটি উদাহরণ দেন-

আমাদের মধ্যে অনেককে দেখা যায় লিফটে চলার সময় লিফট আটকে রেখে মোবাইলে কথা বলে। অনেকের জরুরি কাজ থাকে। এটি ইমানদার ব্যক্তি থেকে কাম্য নয়।

মানুষের চলাচলের জন্য ফুটপাত। অনেক সময় দেখা যায় বন্ধু-বান্ধব মিলে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে, গল্প করছে। এমতাবস্থায় পথচারী ফুটপাত থেকে নেমে যাচ্ছে। এটা যে অন্যায় সেই বোধও আমাদের নেই। একজন মুমিন সদা-সতর্ক জীবন যাপন করবে যাতে তার দ্বারা কেউ কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

খতিব মহোদয় বলেন, মানুষের প্রতি অন্যায় আচরণ এক পাল্লায় এবং বিপরীতে নামাজ-রোজার মতো ইবাদত আরেক পাল্লায় দেয়া হলে দেখা যাবে গুনাহের পাল্লাই বেশি ভারী হবে। তাই উচিত হবে আমাদের দ্বারা আল্লাহর কোনো বান্দার যেন সামান্যতম ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। কারণ মানুষের ক্ষতি হওয়াটা ইমানহীনতারই শামিল।

প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী

কলামিস্ট এবং সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Back to top button