রমজানের অর্ধেক চলে গেল
ক্ষমা করার মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর ও নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলি
হিসাব মেলানো দরকার। শুধু কি গতানুগতিক? না, কিছু পরিবর্তন আনতে পেরেছি। সহানুভূতি প্রকাশের মাস, দয়া ও অনুগ্রহ দেখানোর মাস। জান্নাত প্রাপ্তির সহজ উপায় হলো আল্লাহর বান্দাদেরকে ক্ষমা করা ও তাদের প্রতি দয়ার্দ্র হওয়া।
আসুন, আমরা আমাদের গৃহ, অফিস-আদালত ও কলে-কারখানায় অধীনস্হদের কাজ হালকা করে দেই, তাদের প্রতি দয়ার্দ্র হই ও ক্ষমা করে দেই। তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আবার বলা হয়েছে তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার অধীনস্থদের কাছে উত্তম। দৈনিক সত্তুর বার হলেও তাদের অপরাধ ক্ষমা করে দাও। অনেক হতভাগা আছে যারা সবসময় অধীনস্হদের ভয়ের মধ্যে রাখে, শাস্তি দেয়ার জন্য ওঁত পেতে বসে থাকে।
আল্লাহর ক্ষমা তাদেরই জন্য যারা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে জানে। জান্নাতের প্রত্যাশা তারাই করতে পারে যারা উদার ও প্রশস্ততার অধিকারী। কর্কশভাষী ও পাষাণ হৃদয়ের অধিকারীরাই মানুষের প্রতি জুলুম করে থাকে। এরা সত্যিই হতভাগা। আল্লাহপাক উদার। শাস্তি দানের ক্ষেত্রে তাঁর কোনো তাড়াহুড়ো নেই। ক্ষমা করার মধ্যেই তাঁর যতো আনন্দ। শাস্তি দিতে চাইলে মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
আসুন, আমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হই এবং মানুষকে ক্ষমা করার মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর ও নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলি।