রাশিয়াকে তিরস্কার করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ঐতিহাসিক ভোট
মস্কোকে লড়াই থামানোর দাবি এবং সামরিক বাহিনী সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে
ইউক্রেন আক্রমণের ঘটনায় রাশিয়াকে তিরস্কারের পক্ষে বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ভোট দিয়েছে। মস্কোকে লড়াই থামানোর দাবি জানানো হয়েছে এবং সামরিক বাহিনী সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
ভোটে ইউক্রেনে আক্রমণের ঘটনায় রাশিয়ার নিন্দা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুমোদন পেয়েছে।
ভোটে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪১ দেশ এবং বিপক্ষে ছিল রাশিয়াসহ পাঁচটি দেশ। আরো ৩৫ দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
চীন নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের মতই কৌশল হিসেবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এর আগে ন্যাটোর পূর্বমূখী সম্প্রসারণের বিরোধিতার রাশিয়ার পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছিল দেশটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে চীনের। চীন বলেছে, মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যে নিষেধাজ্ঞাগুলো দিচ্ছে, তাতে বেইজিং অংশ নেবে না।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব আইনগতভাবে রাশিয়া মেনে চলতে বাধ্য নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতিসংঘে কূটনৈতিকভাবে মস্কোকে আরো বিচ্ছিন্ন করে দেওয়াটাই ওই প্রস্তাবের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
এর আগে গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও রাশিয়া তাতে ভেটো দেয়। ফলে প্রস্তাবটি তখনই নাকচ হয়ে যায়। এরপর প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে পাঠানো হয়। গত চার দশকের মধ্যে এই প্রথমবার নিরাপত্তা পরিষদ থেকে আলোচনার জন্য কোনো প্রস্তাব সাধারণ পরিষদে পাঠানো হলো।
বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, রাশিয়ার মিত্র সার্বিয়া বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইউক্রেনে যে সংঘাতের চেয়ে বেশি কিছু ঘটছে, সেটা জাতিসংঘের ১৪১টি সদস্য দেশ জানে। ইউরোপের নিরাপত্তা ও পুরো নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলার ওপর হুমকি এই আগ্রাসন।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ইউক্রেনে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।