বান্দার হক নষ্টকারীর আমলের সওয়াব ক্ষতিগ্রস্তকে প্রদান করা হবে
- মাল্টিপ্ল্যান রেডক্রিসেন্ট সিটি (কুশিয়ারা, পদ্মা ও সুরমা ভবন), মিরপুর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ সাঈফ মাগরিবের পূর্বে সংক্ষিপ্তভাবে বান্দার হক বিনষ্ট সম্পর্কে আলোচনা করেন।
হক দু’ধরনের। এক. আল্লাহর হক, দুই. বান্দার হক। আল্লাহর হক পালনে গাফিলতি ক্ষমার যোগ্য। প্রথমত বান্দা তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন এবং তওবা ছাড়াও আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাকে খুশি তাকে ক্ষমা করতে পারেন। এটি তাঁর অসীম ক্ষমতা এবং তাঁকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। কিন্তু বান্দার হক নষ্ট করা হলে যার হক নষ্ট করা হয় সে যদি ক্ষমা না করে তাহলে সাধারণত আল্লাহ ক্ষমা করেন না। হক নষ্ট করা বিভিন্ন উপায়ে হতে পারে– চুরি, ডাকাতি, ধোঁকা-প্রতারণা, ওজনে কম দিয়ে বা ভেজাল দিয়ে, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বা যে কোনোভাবেই হোক হক নষ্টকারীর পরিণতি বড় ভয়াবহ হবে। সামান্য পরিমাণ খেয়ানত তার সারা জীবনের আমল নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
নেক আমল কম হলেও একজন ইমানদার ব্যক্তির ক্ষমা লাভের সুযোগ রয়েছে কিন্তু মানুষের ক্ষতিসাধনকারীর কোনো ক্ষমা নেই। দেখা যাবে মাত্র ৫/- টাকা খেয়ানতের কারণে একজন ব্যক্তি আটকে যাচ্ছে।
ইমাম সাহেব বলেন, একজন ব্যক্তি দান করে তার সওয়াব নাও পেতে পারে। কারণ দানের ক্ষেত্রে তার মধ্যে রিয়া বা খোঁটা দেয়া বা আল্লাহর সন্তুষ্টি লক্ষ্য নাও হতে পারে। কিন্তু কারো সম্পদ যদি কেউ চুরি বা কোনোভাবে আত্মসাৎ করে তাহলে তার সওয়াব ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি শতভাগ পাবে। কারণ আল্লাহপাক কেয়ামতের দিন হক নষ্টকারীর আমল থেকে পুরোটাই আদায় করে দিবেন।
ঘুষ, দুর্নীতি, হত্যা, লুণ্ঠন, ছিনতাই একটি মুসলিম প্রধান দেশে অকল্পনীয়। আল্লাহর হুকুম পালনে (নামাজ, রোজা, হজ, তাসবিহ-তাহলিল) যতই আন্তরিক হোক, কেউ যদি মানুষের হক নষ্ট করে আখেরাতে তার মুক্তির কোনোই সম্ভাবনা নেই। ফলে আমাদের সবারই সতর্ক হওয়া দরকার।