গরু আমদানিতে অর্থপাচার হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নিন: হাইকোর্ট
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ৫ জুলাই জব্দ হওয়া ব্রাহমা জাতের ১৭টি গরু ফেরত চেয়ে করা আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই গরু আমদানিতে অর্থপাচার হয়ে থাকলে সেবিষয়েও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদশ দেন। গরুগুলোর মালিকানা দাবি করে সাদেক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেনের করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার। কাস্টমসের পক্ষে ছিলে অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ৫ জুলাই ব্রাহামা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করে ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি গরুর বাজার মূল্য ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা বলে জানা যায়। গরুর মালিক খুঁজে না পাওয়ায় গরুগুলো সাভারে সরকারি ডেইরি ফার্মে রাখা হয়।
ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রাহামা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরুর আমদানিকারককে না পাওয়ায় জব্দ করা হয়েছে। এদিকে সাভারে একটি গরু মারা গেছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় গরুগুলোর মালিকানা দাবি করে তা ফেরত নিতে ঢাকার মোহাম্মপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আজ এ রিট আবেদনের ওপর শুনানিকালে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, এই গরু আসার আগেই গরু আমদানির অনুমতির জন্য সংশ্লিস্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়।
এসময় আদালত বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলেছে যে এ ধরণেনের গরু আমদানি নিষিদ্ধ।
জবাবে আইনজীবী বলেন, এই গরুগুলো গবেষণার জন্য আনা হয়েছে। এই গরু ছাড়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদনও করা হয়েছে। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ বলে, গবেষণার জন্য সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকার পণ্য আমদানি করা যাবে। কিন্তু এই গরুগুলোর দাম কোটি টাকার ওপরে। এই গরু আমদানির মাধ্যমে মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) করা হয়েছে। তাছাড়া কোনো কিছু আমদানি করতে হলে আগে এলসি খুলতে হয়। এক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি। এসময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) হয়ে থাকলে সেভাবে ব্যবস্থা নেবেন।